গল্পঃ #চাহিদা লেখাঃ #আদিল_খাঁন পর্ব - ৫ . . . . . . . . . . . . . . . . . . . (বিঃদ্রঃ গল্পটি সম্পূর্ন ১৮+, দয়া করে ছোটরা পড়বেন না, যাদের ভালো লাগবে না তারা ইগনোর করুন)

 গল্পঃ #চাহিদা

লেখাঃ #আদিল_খাঁন

পর্ব - ৫

. . . . . . . . . . . . . . . . . . 

.

(বিঃদ্রঃ গল্পটি সম্পূর্ন ১৮+, দয়া করে ছোটরা পড়বেন না, যাদের ভালো লাগবে না তারা ইগনোর করুন)

.


আমি শাওন কে বলি তোকে হেল্প করতে পারি তবে একটা শর্তে

শাওন আগে পিছে না ভেবে বলে,,, ঠিক আছে,,,, যা বলবা তাই করব। কিন্তু আমাকে বাচাও।

ওর কথা শুনে বললামএবার বল কি করতে হবে,,,,, বল তোকে কি সাহায্য করতে পারি,,,, যদিও আমি জানতাম আমাকে কি বলবে শাওন

ভাবি,,,,, সিমার পেটের বাচ্ছা টা নষ্ট করতে হবে। আমি ওকে বিয়ে করতে পারবো না। আর সিমাও রাজি ও জানে সব। আমার দুজনে শুধু নিজেদের চাহিদা মিটিয়েছি। কিন্তু ভুল বশতো বাচ্চাটা চলে আসে। আর সিমা জানে না কিভাবে এবোর্শন করতে হয়। বা কি কি করতে হয়। তুমি শুধু ওকে হেল্প করবা ডাক্টরের কাছে নিয়ে যাবা।

ওওও এই কথা,,, আচ্ছা দেখছি,, তুই যা এখন। আমি সিমার সাথে কথা বলে দেখি,,,

আচ্চা ভাবি,,

বলেই চলে গেলো শাওন,

আমি কিছুক্ষন পর সিমার সাথে কথা বলি সিমাও রাজি বাচ্চা টা নষ্ট করতে।

ও জানে শাওন ওকে বিয়ে করবে না। শাওনের মতো ওর মুখেও একই কথা,,,চাহিদা মেটানো

যেহেতু ওরা এই বাচ্ছাটাকে নিয়ে চিন্তুত সেহেতু আমি সেটারই ফায়দা নিলাম।

সিমাকেও বললাম যে হেল্প করবো কিন্তু শর্ত আছে।

শাওনের মতো সিমাও শর্তে রাজি।

আমি যেন যা করতে চাচ্ছি সবই হয়ে যাচ্ছিলো।

তারপর কি করলে??? (সাদিক)

তারপর আর কি,,,, সিমার এবোশন করালাম আর সিমার সুস্থ হবার অপেক্ষা করতে লাগলাম।

।।

কিছুদিন পর বুঝতে পারলাম সিমা এখন সুস্থ।

তাই প্রথম সিমাকে শর্তের কথা বলি।

ওকে বলি যে আমার শর্ত হলো তোকে তোর স্যারের সাথে শারীর সম্পর্ক করতে হবে।

ও প্রথমে শুনে চমকে যায় কারণ কোন মেয়ে যে এ কথা বলতে পারে ও হয়তো সেটা একসেপ্ট করে নাই।

কোন স্ত্রী যে তার স্বামীর ভাগ অন্য কাউকে দেবে সেটা তার ধারনার বাইরে ছিলো।

ু যেহুতু কথা দিয়েছিলো তাই রাজি না হয়ে পারে নি।

আর আমি জানতাম ও রাজি হবে।

কারণ যে মেয়ে নিজের ইচ্ছায় শাওনের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে পারে,,, আর যাই হোক ওর শারীরিক চাহিদা অনেক।

কিন্তু শাওন কে রাজি কারালে কিভাবে?? আমি জানি ও ভালো ছেলে (সাদিক)

তোমার মামাতো ভাই একটা ১ নাম্বার লুচ্ছা,,, বুড়ি থেকে ছুরি কাউকে ছারে না।গল্পগুলো ভালোবাসার যে ছেলে কাজের মেয়ের সাথে ওসব করে সে ভালো??

আমাকে কতো বার লাইন মেরেছে জানো??

আমি জানতাম শাওন আমাকে পছন্দ করে।

আমাকে কাছে পাওয়া মানে চাঁদ হাতে পাওয়া ছিলো ওর কাছে।।

শুধু একদিন ওকে ইশারা করি আর তাতেই কাজ হয়ে যায়।

আর এভাবেই শুরু তোমার ও আমার অন্যকারো সাথে সহবাস।

তুমি তো সিমার সাথে ভালোই কাটাতে।

তাই আমি কোথায় যাই কি করি এসবের খুব একটা খেয়াল রাখো নি।

রাতে দুজনকে ভালই সামাল দিতে।

তাহলে শিপন কে তোমার প্রয়জন হলো কেন?

শিপনকে আমার প্রয়জন হয়নি বরং আমি ওর প্রয়জন হয়ে যাই।

মানে???

বললাম না,,, তোমার কাজিন শাওন এক নাম্বারের লুচ্ছা??

ওর জন্যই আমার শিপনকেও খুশি করতে হয়।

ঠিক বুঝলাম না।

আমার প্লান ছিলো আমি যখন বুঝতে পারবো আমি অন্তঃসত্তা তখন শাওনের সাথে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিবো।

এবং সিমাকেও বলবো চলে যেতে আমার বাড়ি থেকে। আমার প্লান বাচ্চা পেটে আসলে সব শেষ।

আমার প্লান মতো চলতে থাকলো সব।

একদিন সকালে বসে চা খাচ্ছিলাম হঠাৎ বমি বমি ভাব হয়।

তারাতারি করে ওয়াশ রুমে চলে যাই কিম্তু বমি হয় না,,,

ওয়াশ রুম থেকে আসতে মাথা ঘুরে পরে যাই।

তারপর দুপুর হুশে ফিরি।

সিমার কাছে জানতে পারি আমি নাকি ফ্লোরে পরেছিলাম ও এসে তুলে আমাকে?

তারপর আমার সব মনে পরে।

তারাতারি করে বাথরুমে গিয়ে বেবি স্টিক দিয়ে টেস্ট করি।

দেখলাম পজেটিভ।

সেদিন অনেক খুশি হই আমি।

অনেক কষ্টের পর আমি দেখে পাই আমার সেই দিনের যে দিনের জন্য আমি এতোটা অপেক্ষা করেছি।

সেদিন রাতে তামাকে কথাটা বলি,,,, তুমিও খুশি হও।

কিন্তু তুমি জানতে না এটা তোমার সন্তান নয় যে আমার পেটে বড় হচ্ছে,,,,

তোমার খুশি দেখে মনে হয়েছিলো আমি কোন পাপ করিনি,, কোন অন্যায় করি নি।

মানুষ তো চাহিদা মেটাতে গিয়ে খুনও করে। সে কি মেনে নেয় যে সে অন্যায় করেছে?

নেয় না। করণ সে ভাবে সেটাই ঠিক সে যেটা করেছে। তোমার কাছেও তাই মনে হয়েছে। যাই হোক তারপর বলো ( সাদিক)

তারপর শাওনকে বলে দেই যে আমি এখন অন্তঃসত্তা তাই তোর সাথে দেখা করতে পারবো না। কিন্তু আমি ওকে এটা বলিনি যে আমার পেটের সন্তান ওর। কারণ আমি সামিরাকে তোমার পরিচয়ে বড় করতে চেয়েছি।

আর সিমাকে তারিয়ে দিবো তখনি মনে পড়লো এখন আমি বেশি কাজ করতে পারবো না। তাই একজন কে আমাদের প্রয়জন। তাই ওকে রেখে দেই।

তারপর সামিরার জন্ম হলো

তুমি আমি দুজনে খুশি,,,, অনেক আনন্দ চলে আসে আমাদের এই ছোট্ট ফ্লাটটাতে।

সামিরার বয়স যখন ১ বছর পূর্ন হলো।

তার কিছু দিন পর শাওন ফোন করলো আমি সোজা বলে দেই আমি আর ওসব করতে পারবো না।

কিন্তু শাওন অনেক রিকুয়েস্ট করে শেষ বারের জন্য দেখা করতে।

আমিও আর না করলাম না,,,

দেখা করতে হোটেলে চলে যাই

গিয়ে দেখি শাওন বসে আছে।

আমাকে দেখেই উঠে আসে আর এক টানে ওর বুকে নিয়ে নেয়।

তারপর.......

ওর চাহিদা মিটানোর পর

আমি ক্লান্ত হয়ে শুয়ে আছি এমন সময় শিপন ঢুকলো রুমে আমি ওকে দেখে অবাক হয়ে বিছানার চাদর টেনে নিজেকে কোন রকম ভাবে ঢেকে নেই।

শাওনের দিকে তাকিয়ে দেখি ও হাসছে।

চলবে.....

মন্তব্যসমূহ

Archive

যোগাযোগ ফর্ম

প্রেরণ