গল্পঃ #চাহিদা লেখাঃ #আদিল_খাঁন পর্ব - ১ . (বিঃদ্রঃ গল্পটি সম্পূর্ন ১৮+, দয়া করে ছোটরা পড়বেন না, যাদের ভালো লাগবে না তারা ইগনোর করুন)

 গল্পঃ #চাহিদা

লেখাঃ #আদিল_খাঁন

পর্ব - ১

.

(বিঃদ্রঃ গল্পটি সম্পূর্ন ১৮+, দয়া করে ছোটরা পড়বেন না, যাদের ভালো লাগবে না তারা ইগনোর করুন)

.


২৬ বছর বয়সী লিজা হোটেল রুমে বসে অপেক্ষা করছে তার দেবর ও সে* পার্টনার শাওনের জন্য।

প্রায় ৩০ মিনিট পর আসলো শাওন।।

কিরে তোর আসতে এতোক্ষন লাগে?

সরি ভাবি,,,, বাইকের তেল শেষ হয়ে গেছিলো।

ওওও,,, নে তারাতারি শুরু কর। আজ বেশি সময় নাই। তোর ভাই বাসায় এসে না দেখলে সন্দেহ করবে।

> আচ্ছা....

কাপর সব খুলবি না। এমনি কর।

ওকে ভাবি,,,,,

ওকে,, আচ্ছা বলা বাদ দিয়ে তারাতারি শুরু কর....

বলে বিছানায় শুয়ে পরলো লিজা,,,,,,

আর বললো

, সিমা কোথায়?

>> বাইরে বসে আছে

অতঃপর লিজা এবং শাওন তাদের কাজ শুরু করলো,,,

চলে গেলো পাপের দুনিয়ায়,,, নিজেদের দেহের চাহিদা মেটাতে।

১৫ মিনিট পর.....

ঐ তোর হয়েছে??

হুমমম ভাবি,,,,

আচ্ছা সর,, , ওঠ আমার ওপর থেকে।

আর একটু থাকো না ভাবি??

তোকে সুখ দিতে গিয়ে আমি আমার সংসার ভাঙ্গতে পারব না। সর,,, (ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো শাওনকে লিজা)

নিজের কাপড় ঠিক করতে করতে লিজা বললো,,,আমি গেলাম,, আর বার বার কল করবি না কইলাম। তোর ভাইয়া মাঝে মাঝে ফোন হাতে নেয়।

যদি ধরা পরি

তাহলে আমাকে আর পাবি না।

ঠিক আছে......ভাবি,,,, আমি তোমাকে হারাতে পারবো না।

এই বলে লিজা নিজের বোরখারা পরে রুম থেকেবেড়িয়ে সিমাকে ডেকে নিয়ে হোটেল ত্যাগ করে

লিজা বাইরে এসে একটা সিনজি ধরে বাসার দিকে রওনা হয় সিমাকে সাথে নিয়ে।

আসলে সিমা হলো লিজার বাসার কাজের মেয়ে।।

যাকে লিজা নিজের বোনের মতো দেখে আর নিশ্বাস ও করে তাই ওকে সাথে নিয়ে নিজের ইচ্ছা মতো পর পুরুষের সাথে নিজের চাহিদা মেটায় লিজা,,

(((এই সিমার আর একটা চরিত্র আছে এই গল্প যা পরে আপনারা জানতে পারবেন)))

শাওন এখনো হোটেল রুমেই বসে আছে।

যেখানে এতোক্ষন নিজের চাহিদা মিটালো দুজনে।

শাওন বসে বসে ভাবছে

লিজা ভাবির কিসের অভাব?

টাকা?

সম্পত্তি?

স্বামির ভালোবাসা?

ওর তো ৩ বছরের একটা মেয়েও আছে।

আর

আমার তো মনে হয় সাদিক ভইয়া ওর কোন চাওয়াই আপর্ণ রাখে নি।

তাহলে কেন??

এসব ভাবতে ভাবতে ঘড়ির দিকে শাওন তাকিয়ে দেখে ৩.৪৬ মিনিট।

ওরে বাবারে রে বলে উঠে দাড়ায় শওন।

আজ প্রাইভেট মিস হবে বলে মনে হয়।

হোটেল থেকে বেড়িয়ে এসে বাইক নিয়ে চলে যায় শাওন।

এদিকে প্রায় ১৫ মিনিট পর বাসার সামনে চলে আসে লিজা,,

সিনজি ভারাদিয়ে লিজা সিমাকে বললো কি রে সিমা তোর ভাইয়া আবার আসে নাই তো??

মনে হয় আসে নাই ভাবি।

আসলে তো বাইরে গাড়ি থাকতো।

হুম তারাতারি চল,,,

অতঃপর লিজা বাসায় এসে গোসল করে ফ্রেস হয়ে সোফায় বসে টিভি দেখছে।

এমন সময় শিপন এর ফোন।

প্রথমে ধরলো না। 

    *নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: "নিঃস্বার্থ ভালোবাসা"*

কিন্তু শিপন ও নাছর বান্দা ফোন দিয়েই যাচ্ছে।

অতঃপর কলটা রিসিভ করলো লিজা।

কি বলবি তারাতারি বল (লিজা)

কলটা ধরতে এতো দেরি হলো কেন ভাবি? জানতে পারি?

আমি কি তোর বউ যে তোকে সব বলতে হবে?

আজাইরা পেচাল বাদ দিয়ে কেন কল করেছিস সেটা বল।

কাল দেখা করতে পারবে?

না কাল হবে নাহ।

কেন?

আমার সমস্যা আছে।

আর মনে রাখিস আমি কোন পতিতা না যে তুই ডাকলি আর আমি চলে আসব।

আমার সংসার আছে।

সব কিছু মেইনটেন করে চলতে হয় আমার।

তো কবে দেখা করবে?

দেখি,,,,, টুটু কলটা কেটে দিলো লিজা।

সিমাকে এক কাপ চা দিয়ে যেতে বলে আবার

আবার টিভি দেখায় মনো্যোগ দিলো লিজা। সামিরাকে লিজার (মেয়ে) কোলে নিয়ে।

লিজার পছ্দের সিরিয়াল বলে কথা।

এই নিন ভাবি চা

হুমমম ,, তোর কাজ শেষ? হাত বাড়িয়ে চা নিয়ে।

হুমমম ভাবি

তো বস এখানে টিভি দেখি।

হুমমম ভাবি,,, বলে ফ্লোরে বসে পড়লো সিমা।

আরে সোফায় বস না।

এখন কি তোর ভাইয়া আছে.

সোফায় বসতে বসতে সিমা বলল,,,,, কেমনে আপনি একসাথে দুইজনকে সামাল দেন ভাবি?? শাওন শিপন দুজন প্রেমিক বলেই একটা শ্বাস ছাড়লো সিমা

লিজা একটা হাসি দিয়ে বললো,,,,,দুই জন কোথায় রে,,, তিন জন,,,,

তোর ভাইয়া আছে না?

হুমমমমমম,,,,, একটা আবার একটা শ্বাস ছাড়লো সিমা,,,,মনে মনে ভাবছে আমি একটাকেই সামাল দিতে পারি না।

আর ওনি তিন টা!!!

?

বিকাল ৫ টা......

গাড়ির হর্ন শুনে তারাতারি করে সোফা থেকে উঠে পরে সিমা।

সিমার কান্ড দেখে মুসকি একটা হাসি দিলো লিজা

আর বললো এতো ভয় করিস তোর ভাইয়াকে?

হুমমম ভাবি অনেক।

তহলে আমাকে যে এসবে সাহায্য করিস যদি জানতে পারে???

কি ব্যাপার লিজা কি করছো?? আমার মামনি সামিরা কেমন আছো??বলেই ধপ করে সোফায় বসে পরলো সাদিক,, অনেক ক্লান্ত সে,,,

এইতো টিভি দেখি,,, আজ কি খুব বেশি ক্লান্ত?? আর তোমার অফিস তো ৪ টা বাজে শেষ হয়,, তাহলে মাঝে মাঝে ৫,,৫.৩০ এমনকি কোন দিন ৬ বাজেও বাসায় আসো কেন?

হুমমম,,,,,অনেক,,,, কাজ থাকে তাই,,,,

যাও ওপরে যাও,, গিয়ে ফ্রেসহয়ে নাও,, লিজা৷ নাস্তা রেডি করছে,,,,

ওকে,,,, বলেই ওপরের দিকে হাটা দিলো সাদিক,,,

যা,, সিমা তোর ভাইয়াকে নাস্তা দে

ওকে ভাবি,, যাচ্ছি।

সাদিক ওপরে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিলো।

তারপর নাস্তার টেবিলে আসলো

কি রে সিমা,,,,, নাস্তা রেডি?

হুমম ভাইয়া বসুন,,,,দিচ্ছি,,

নাস্তা সেরে সাদিক নিচে লিজার কাছে চলে আসে,,,

নাস্তা করছো?

হুমমমম করলাম,,,,

সন্ধা তো হয়ে এলো বাজারে যাবা না??

নাহ আজ যাব না,,, যা আছে তাই দিয়ে সিমাকে চালিয়ে নিতে বলো,,,,

এভাবে দুজনে গল্প করতে করতে অনেটা সময় কেটে গেলো,,,,

রাত ১০ টা,,,,,,,

লিজা ওয়াশরুম থেকে ফেস হয়ে এসে নাইত ড্রেস পড়ছে আর সাদিককে দেখছে সাদিক বসে ল্যাপটপে নিজের কাজ করছে,,,,

লিজা সাদিককে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে বলল

আর কতো অফিসের কাজ করবা?

ঘড়ে যে বউ আছে সেটা ভুলে গেছো?

সাদিক নিজের কাজ রেখে লিজাকে হ্যাচকা টান দিয়ে বিছানায় চেপে ধরলো

আর বলল

না ভুলি নাই,,, বলেই লিজার ঠোটে নিজের ঠোট ডুবিয়ে দিলো,,,,,,

লিজাও নিজের স্বামির সোহাগ চোখ বন্ধ করে উপভোগ করছে।

এভাবে ১০ মিনিট চলতে থাকলো,,,,,,

হঠাৎ টেবিলে রাখা লিজার ফোটের ম্যাসেস টোন টা বাজতেই দুজনে চোখ সেদিকে গেলো,,,,

.

চলবে.....

মন্তব্যসমূহ

Archive

যোগাযোগ ফর্ম

প্রেরণ