গল্পঃ #চাহিদা লেখাঃ #আদিল_খাঁন পর্ব - ৬ . . . . . . . . . . . . . . . . . . . (বিঃদ্রঃ গল্পটি সম্পূর্ন ১৮+, দয়া করে ছোটরা পড়বেন না, যাদের ভালো লাগবে না তারা ইগনোর করুন)

 গল্পঃ #চাহিদা

লেখাঃ #আদিল_খাঁন

পর্ব - ৬

. . . . . . . . . . . . . . . . . . 

.

(বিঃদ্রঃ গল্পটি সম্পূর্ন ১৮+, দয়া করে ছোটরা পড়বেন না, যাদের ভালো লাগবে না তারা ইগনোর করুন)

.

আমি শাওনের শারীরক চাহিদা মিটানোর পর

ক্লান্ত হয়ে শুয়ে আছি।

এমন সময় শিপন রিমে প্রবেশ করলো

আমি শিপনকে দেখে অবাক হয়ে যাই।

শাওনের দিকে তাকিয়ে দেখি শাওন হাসছে।

আমি অবাক হয়ে শাওনকে প্রশ্ন করলাম শিপন এখনে কেন?

শাওন হেসে উত্তর দিলো ওর ও চাহিদা একটাই।

বলেই শাওন বিছানা থেকে উঠে গেলো।

আমি উঠতে পারছি না লজ্জায় কারন আমার শরীর এ কোন কাপর ছিলো না।

তাই বিছানায় বসে আছি।

শিপন বিছানায় বসতে বসতে বলল

কি ভাবি আমাকে পছন্দ হয় নি??

আমি শিপনকে অনুরুধ করলাম যেন আমাকে ছেড়ে দেয়।

কিন্তু শিপন কোন কথা না বলে ওয়াশরুমে চলে যায়।

আমি এই ফাকে কাপড় পরে নেই।

শিপন ওয়াশ রুম থেকে ফিরে এসে দেখে আমি কাপড় পরেছি।

কাপড় পড়া দেখে বলল

কি ইচ্ছা নাই করার??

আমি বললাম,,,, কেন এমন করছিস তোরা আমার সাথে??

শিপন বললো,,,,, তুমি ভাইয়াকে ঠকিয়ে শাওনকে খুশি করতে পারো তো আমি কি দোষ করেছি শুনি??

আমি শিপনের কোন কথা না শুনে চলে আসতে লাগলাম।

কিন্তু শিপন পিছন থেকে আমার হাত টেনে ধরে।

একটা টান দিয়ে ওর বুকে চেপে ধরে বলে।

এতো সহজ এখান থেকে চলে যাওয়া??

। *নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: "নিঃস্বার্থ ভালোবাসা"*

  

আমি বললাম,,, সরি শিপন আমি তোমার সাথে করতে পারবো না।

হুমমম,,, তাই নাকি,,, তাহলে এটা কি করব?? একটা ভিডিও দেখিয়ে।

ভিডিও টা দেখে আমার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায়।

ভিডিওটা ছিলো আমার।

কি বলবো কিছু বিঝতে পারছিলাম না।

শাওন বাজে সেটা জানতাম কিন্তু এতোটা বাজে সেটা বুঝি নি।

তারপর কি হলো??? মাথা নিচু করে সাদিক প্রশ্ন করলো।

তারপর আর কি আমি বনে গেলাম ওদের হাতের পুতুল।

যখন যেভাবে ডাকতো আমাকে যেতে হতো।

বিশ্বাস করো সাদিক

আমি নিজের ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে কখন যে ওদের চাহিদা হয়ে গেছি বুঝতে পারি নি।

অনেক বার ওদের কাছে মাফ চেয়েছি কিন্তু ওরা এতোটুকু মায়া করে নি আমাকে।

৭ দিন দেখা না করলে ওরা

ভিডিও ইন্টারনেটে দেয়ার ভয় দেখায়।

সাদিক কি বলবে ঠিক বুঝতে পারছে না।

এমন সময় টেবিলে রাখা ঘড়িতে চোখ পরলো সাদিকের।

দেখে ১১ টা বেজে গেছে।

তাই লিজা কে বললো

অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পড়ো।

লিজা পুতুলের মতো বসে আছে আর কোন কথা বলছে না।

সাদিক আবার বললো,,, কি হলো ঘুমাবে না???

বলেই উঠে জানালার পর্দাটা ঢেকে দিতে গেলো।

পর্দাটা টেনে দিয়ে এসে শুইয়ে পড়লো সাদিক।

লিজার কেছু না বলে।

শুয়ে শুয়ে ভাবছে আমি বাবা হবার ক্ষমতা রাখি না?

আমি বাবা হতে অক্ষম?

সামিরা আমার মেয়ে না??

না আমি এটা মানি নাহ।

কোন দিন মানব না।

সামিরা আমার মেয়ে।

আমি সামিরার বাবা। মাসিরাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না।

কি বিশ্বাস আছে যে লিজা সত্যি বলছে?

এটাও তো হতে পারে লিজা তার পাপ ঢাকার জন্য আমার দোষ দিচ্ছে।

না লিজা আর বিশ্বাস করা যাবে না।

এসব ভাবতে ভাবতে রাত গভীর হয়ে গেলো কিন্তু সাদিকের ঘুম আসছে না।

হঠাৎ সাদিক বুঝতে পারলো কেউ ওর পায়ের কাছে বসে আছে পা ধরে।

ছারো লিজা,,,

সাদিক তুমি আমাকে মাফ করতে পারবে না???।

উঠো ঘুমিয়ে পড়ো,,,৷ কাল কথা হবে। পা ছাড়ো আমার।

না ছাদিক তুমি না বলা পর্যন্ত আমি তোমার পা ছাড়বো না।

পাগলামি করো না লিজা,,,,

সাদিক প্লিজ,,,,, আমার জন্য না হলেও সামিরার জন্য হলেও ক্ষমা করে দাও।

আমি সব ছেড়ে দেবো।

অন্য কোথাও চলে যাব আমার। অনেক দুরে,,,,,, নেবে না আমায়?

লিজা এখন এসব বলার সময় নয়।

ঘুমিয়ে পড়ো।

বলেই পা ছাড়িয়ে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো সাদিক।

সকাল ৮ টা.......বাজে ঘুম ্ভাঙ্গে সাদিকের।

বিছানা থেকে উঠে দেখে লিজা সোফায় ঘুমাচ্ছে,,,

ঘুমের মধ্য অনেক সুন্দর লাগছে লিজাকে।

একদম নিশ্পাপ শুশুর মতো।

টাওলটা নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো সাদিক

শাওয়ার নিয়ে বেড়িয়ে দেখে লিজাও ঘুম থেকে উঠে পরেছে।

সাদিক লিজাকে কিছু না বলেই চলে গেলো ব্রেকফাস্ট করতে।

ব্রেকফাস্ট সেরে অফিস যাবে তখনি লিজা পিছন থেকে ডাক দিলো।

কিছু বলবে??( সাদিক)

নাহহহ,,,, তুমি যাও,,,,অফিস থেকে আসলে বলবো।

আচ্ছা,,,,

বলেই চলে গেলো সাদিক।

বিকালে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরলো সাদিক।

লিজাকে দেখলো কার সাথে যেন কথা বলছে।

হয়তো শাওন অথবা শিপন হবে।

কিছু না বলেই উপরে চলে গেলো।

কিছুক্ষন পর কারো গলার আওয়াজে নিচে আসে সাদিক।

এসে দেখে শাওন লিজার সাথে উচ্চ শ্বরে কথা বলছে।

ব্যাপারটা এড়িয়ে যেতে চেয়েও পারলো না।

তাই নিচে নেমে এলো।

এসে বললো কি ব্যাপার শাওন কি হয়েছে

আমি আমার মেয়েকে নিতে এসেছি ভাইয়া। (শাওন)

তোর মেয়ে মানে??

হ্যা আমার মেয়ে।

কে তোর মেয়ে?

কেন সামিরা৷,,, সামিরা আমার মেয়ে।

নাহ সামিরা তোর মেয়ে না,,,ও সাদিকে মেয়ে। (লিজা)

হাহা সাদিক ভাইয়ার মেয়ে?? উনি তো বাবাই হতে পারবে না তাহলে মেয়ে কোথা থেকে আসবে?

সাদিক মাথা নিচু করে ফেললো। কি বলবে কিছু খুজে পাচ্ছে না।

কে বলেছে তোকে সাদিক বাবা হতে পারবে না??

কেন সিমা,,, সিমা বলচে আমাকে

শাওনের উত্তর শুনে সাদিক,লিজা অবাক।

কারণ এই বিষয়টা শুধু সাদিক আর লিজাই জানে তাহলে সিমা কি করে জানলো??

এটা কি করে সম্ভব??


চলবে.....

মন্তব্যসমূহ

Archive

যোগাযোগ ফর্ম

প্রেরণ